নবী মুহাম্মাদ (ছ:) কখনোই দাবী করেননি, তিনি কোরআনের লেখক । প্রকৃতপক্ষে তিনি সবসময় বলতেন, এটা হলো আল্লাহ্র কাছ থেকে আসা প্রত্যাদেশ। আল্লাহ্ ক্ষমা করুন, অন্য কিছু ভাবা অযৌক্তিক এবং তার অর্থ হয়, তিনি মিথ্যা কথা বলছেন। ইতিহাস বলে, নবী মুহাম্মাদ (ছ:) কখনোই নবুওয়ত পাওয়ার আগে পরে সমগ্র জীবনে কখনো মিথ্যা কথা বলেননি। সব লোকই তার প্রশংসা করেছিল, তিনি সৎ, মহৎ এবং পবিত্র ছিলেন বলে আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই। তারা তাকে 'আল আমিন' উপাধি দিয়েছিল, যার অর্থ বিশ্বাসযোগ্য এবং এ উপাধি তাঁকে দিয়েছিল তাঁর বন্ধু শত্রু সকলেই ৷ এমনকি ওইসব লোকেরাও যারা বলেছিল তিনি একজন মিথ্যুক; আল্লাহ ক্ষমা করুন, নবুওয়ত পাওয়ার পরও বলেছিল । এমনকি তখনো তারা তাদের মূল্যবান জিনিসগুলো তার কাছে গচ্ছিত রাখতে দ্বিধা করেনি। তাহলে কেন একজন সৎ ব্যক্তি মিথ্যা কথা বলবেন? তিনি বলছেন, কোরআন হচ্ছে আল্লাহর প্রত্যাদেশ, আর তিনি হলেন আল্লাহ প্রেরিত নবী।
এবার প্রাচ্যবিদদের দাবি যাচাই করে দেখা যাক। কেউ কেউ বলেন, হযরত মুহাম্মাদ (ছ:) কোরআনের উপর নৈসর্গিক ধর্মের গুণ আরোপ করেছিলেন এবং বলেছিলেন, তিনি হলেন বস্তুগত লাভ ও জাগতিক উপকারের জন্য আসা একজন নবী । আমি একমত যে, কিছু লোক আছে যারা সম্পদ উপার্জনের জন্য নবী, মিথ্যা করে নিজেদের সন্ত বা ধর্ম প্রচারক বলে দাবী করে থাকে। তারা অনেক ধন উপার্জন করে এবং বিলাসী জীবন যাপন করে। সারা পৃথিবী জুড়ে, বিশেষ করে আমাদের দেশ ভারতে এরকম লোক প্রচুর রয়েছে। তার অর্থিক অবস্থা নবুওয়তি পাওয়ার পরের চেয়ে নবুওয়ত পাওয়ার পূর্বে বরং অনেক যেশি ভাল ছিল । তিনি ২৪ বছর বয়সে খাদিজা (রাঃ) নামে এক ধনী ব্যবসায়ী মাহিলাকে বিবাহ করেছিলেন । তা ছিল নবুওয়ত পাওয়ার ১৫ বছর আগে এবং নবুওয়ত দাবি করার পর তার জীবন ছিল হিংসা করার অযোগ্য । মহানবী (ছ:) এর পদ্মী আয়েশা (রাঃ) বলেছেন, এমন সময়ও গিয়েছে যখন একমাস দু'মাস পর্যন্ত বাড়িতে আগুন জ্বলেনি, কারণ খ্মবারের কোনো আয়োজন ছিল না। তাঁরা বেঁচে ছিলেন খে জুর আর পানি খেয়ে, কখনো কখনো মদিনার লোকদের দেয়া ছাগলের দুধ পান করে। এটা কিছু কোন সাময়িক ঘটনা নয়। বরং এটাই ছিল নবী করীম (ছ:) এর স্বাভাবিক জীবনব্যবস্থা ৷ রিয়াদুস সালেহীন গ্রন্থের ৪৬৫ ও ৪৬৬তম হাদীস হযরত বেলাল (রাঃ) বলেছেন, যখন রাসূল (ছ:) কারও কাছথেকে কোনো উপহার বা দান-খয়রাত পেতেন, তখনই তিনি তা গরীব অভাবী মানুষের মধ্যে বিতরণ করে দিতেন এবং কথনোই নিজের জন্য তা তুলে রাখতেন না। তাহলে কেন আপনি সন্দেহ করতেন নবী মুহাম্মাদ ছল্লাল্লাহু আলাইহি সাল্লাম কেবল বস্তুগত লাভের জন্য মিথ্যা কথা বলেছেন? ছিঃ, নাউয়ু বিল্লাহ । এ কথা নস্যাৎ করার জন্য সূরা বাকারায় ৭৯ আয়াতে এরশাদ হচ্ছে
অর্থ : “সুতরাং দুর্ভোগ তাদের জন্য যারা নিজের হাত দিয়ে কিতাব রচনা করে এবং তুচ্ছ মূল্য প্রাপ্তির আশায় বলে, এটা আল্লাহর নিকট থেকে প্রাপ্ত) তাদের হাত যা রচনা করেছে তার জন্য শাস্তি তাদের যা তারা উপার্জন করে তজ্জন্য শাস্তি তাদের ।”
এ আয়াত ওই সব লোকদের কথা বলছে যারা তাদের হাত দিয়ে বইটি লিখেছিল এবং বলেছিল, এটা সর্বশক্তিমান আল্লাহ্র কাছ থেকে পাওয়া অথবা তারা আল্লাহ্র বাণী পরিবর্তন করেছিল। যদি হযরত মুহাম্মাদ (ছ:) নিজেই কোরআন লিখতেন এবং তাতে আল্লাহ্র নাম আরোপ করতেন তার জীবনের কোনো এক সময়ে, তাহলে তিনি একদিন না একদিন ধরা পড়ে যেতেন । তখন তাকে বলা হত সবচেয়ে বড় ভুল এবং তার নিজের বইতেই নিজে তিরস্কৃত হতেন। কিছু লোক বলে, হযরত মুহাম্মাদ (ছ:) কোরআনে আল্লাহ্র নাম আরোপ করেছেন বা আল্লাহ্র নামে চালিয়েছেন এবং নিজেকে নবী বলে সম্বোধন করেছেন- আভিজাত্যের জন্য, ক্ষমতার জন্য, গৌরবের জন্য এবং নেতৃত্বের জন্য । যে ব্যক্তি আভিজাত্য, ক্ষমতা, নেতৃত্ব ও গৌরব চায়, তার গুণগুলো কী? সে ঝলমলে পোশাক পরে, ভাল ভাল খাদ্য গ্রহণ করে, বিশাল সুউচ্চ প্রাসাদে বাস করে এবং তার অনেক দেহরক্ষী ইত্যাদি থাকে।
আমরা নায়েক এর কথা গুলি এখানে সম্প্রচার করেছি
Thanks for reading: পয়গম্বর মোহাম্মদ (ছ:) সবসময় বলতেন কোরআন আল্লাহর কাছ থেকে পাওয়া প্রত্যাদেশ। আসলে কিনা জেনে নেয়া যাক , Stay tune to get latest Blogging Tips.