কোরআন ঘটনা ও প্রশ্ন দিয়ে অবিশ্বাসীদের হতবাক করে ? |
কোরআন ঘটনা ও প্রশ্ন দিয়ে অবিশ্বাসীদের হতবাক করে .
কোরআন কোন ঘটনার উল্লেখ করে আর প্রশ্ন তুলে মানুষকে হতবাক করে। বন্ধুত নবী মুহাম্মাদ (ছ:) মিথ্যোম্যানিয়াক ছিলেন না। ওই লোকগুলোই প্রকৃতপক্ষে মিথ্যোম্যানিয়াক। কারণ তারা বলে, নবী করীম (ছ:) মিথ্যা বলেছিলেন এবং তারা তাদেরই কথা বিশ্বাস করে । কোরআন ওই লোকগুলোকে ঘটনা ও প্রশ্ন তুলে হতবাক করে। যদি তুমি সন্দেহ করো, যদি তুমি ভাব, কোরআন জাল করা হয়েছে, তবে তুমি এরূপ কাজ কর । যদি তুমি ভাব, কোরআন আল্লাহ্র দেওয়া নয়, তাহলে এর সম্পর্কে কী বলা যায়? এটা কয়েকটি প্রশ্ন উথাপন করে, যার মোকাবিলা ইনশাআল্লাহ্ আমরা আমাদের আলোচনার সময় করব। কেউ কেউ একটি তত্ত্ব এনে হাজির করেছে, যে তত্ত্বকে বলা হয় ধর্মীয় ভ্রন্তিমূলক বা অবচেতনমূলক তত্ত্ব, যাতে তাদের মতে পয়গম্বর মুহাম্মাদ (ছ:), নাউয়ু বিল্লাহ তার অবচেতন মনকে গঠন করতেন এবং অজান্তে কোরআনের বাণী বলে যেতেন। তাদের মধ্যে কেউ কেউ বলেছিল, তিনি ছিলেন বিকৃত মনস্তিষ্ক। আল্লাহ্ ক্ষমা করুন। আসুন
'আমরা তাদের দাবি বিশ্লেষণ করি৷ যদি কোনো ব্যক্তি একটা রোগে ভোগে অথবা সে বিকৃত বুদ্ধি হয়, তারা অনুভব করতে ব্যর্থ হয় যা. কোরআন নাজিল হয়েছিল দীর্ঘ ২৩ বছর ধরে। কোরআন একই সঙ্গে একই সময়ে অবতীর্ণ হয়নি- ধাপে ধাপে আংশিকভাবে ২৩ বছর ধরে অবতীর্ণ হয়েছিল ৷ যদি কোরআন কোনো অবচেতন মন থেকে বিকৃত মস্তিফ থেকে বেরিয়ে আসতো, তাহলে এটা এত সুসংবদ্ধ ও ধারাবাহিক হতে পারত না এবং কোনো একজন
ব্যক্তি মিথ্যা ধারণার অধীনে থেকে ভাবতে পারত না যে, সে একজন নবী, যখন প্রত্যেকটি বিষয় ২৩ বছর ধরে তার অবচেতন মন থেকে বেরিয়ে আসছে। কোরআনে বেশ কয়েকটি ঘটনার উল্লেখ রয়েছে যা এ কথাটা বাতিল করে দেয়। উদাহরণ হিসাবে, কোরআন কতকগুলো এঁতিহাসিক ঘটনা উল্লেখ করেছে, যা সে সময়কার (নবী যুগের) কোনো ব্যক্তিই জানা ছিল না। বেশ কিছু ভবিষ্যদ্বাণী আছে, যা উল্লিখিত এবং পরবর্তীকালে সত্যে পরিণত হয়েছে। বেশ কয়েকটি বৈজ্ঞানিক ঘটনা আছে যা সে সময় জানা ছিল না এবং আজ তা সুনিশ্চিত হয়েছে। এটা অসম্ভব, এ ধরনের ঘটনাগুলো একটি অবচেতন মন থেকে বা একটি বিকৃত মস্তিষ্ক থেকে বেরিয়ে আসবে ৷ কোরআন সাক্ষ্য দেয়__
অর্থ : “তারা কি একথা ভাবে না যে, তাদের সাথী উন্মাদ নয়। সে তো এক সতর্ককারী ।” (সূরা 'আরাফ : ১৮৪)কোরআনে পুনরায় বলা হয়েছে-_অর্থ : “তোমাদের সাথী পাগলও নয়।” (সূরা তাকবীর : ২২)
সুতরাং একটা লোকের কি মিথ্যা বলা উচিত? তাদের সব তত্ত্ব আলোচনা করা অসম্ভব ৷ যদি কারো কোনো নতুন তত্ত্ব থেকে থাকে, তাদের স্বাগত জানানো হচ্ছে প্রশ্নোত্তরের সময় সে তত্ত্ব উপস্থাপন করার জন্য, ইনশা-আল্লাহ্ আমি যথাসাধ্য চেষ্টা করব তার ব্যাখ্যা দিতে।
দ্বিতীয় অনুমান হচ্ছে, নবী করীম (ছ:) কোরআন অন্য ধর্মশান্ত্র থেকে নকল করেছিলেন বা অন্য কোনো মানবিক উৎস থেকে পেয়েছিলেন। তত ুল প্রমাণ করতে একটা এতিহাসিক ঘটনাই যথেষ্ট সেটা হচ্ছে, আমাদের নবী ছিলেন নিরক্ষর
সূরা আনকাবুত এর ৪৮ যাবার আয়াত দেখুন
আল্লাহ্ জানেন, লোকেরা কোরআনের উৎস সম্পর্কে সন্দেহ করবে। সে কারণেই তার পবিত্র স্বীয় জ্ঞান দিয়ে তিনি তার শেষ ও চূড়ান্ত বার্তাবাহক নবী মুহাম্মাদ (ছ:) কে বেছে নিয়েছিলেন, তিনি হলেন উস্মি, নিরক্ষর ও অশিক্ষিত ৷ নতুবা নিশ্চয়ই অহংকারী বক্তাদের কিছু বলার থাকত ৷ যদি নবী করীম (ছ:) শিক্ষিত হতেন, তাহলে সমালোচক ও উনন-সিকেরা বলত মুহাম্মাদ (ছ:) কোরআন কোনো জায়গা থেকে নকল করেছিলেন এবং নতুন 'আকারে পরিবেশন করেছিলেন, নাউযুবিল্লাহ, এহেন দাবি অযৌক্তিক ও বাতিল ।
Thanks for reading: কোরআন ঘটনা ও প্রশ্ন দিয়ে অবিশ্বাসীদের হতবাক করে ?, Stay tune to get latest Blogging Tips.